মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
মঙ্গলবার, GBP/USD পেয়ারের মুভমেন্টের সাথে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের ঘনিষ্ঠভাবে মিল ছিল। ব্রিটিশ পাউন্ড প্রায়ই ইউরোর পথ অনুসরণ করে, এবং কিছু ক্ষেত্রে এটি সরাসরি ইউরোর মুভমেন্ট অনুকরণ করে। গতকাল, টেকনিক্যাল পরিস্থিতির সাথে সঙ্গতি রেখে ইউরোর ট্রেড করা হয়েছে, যা ট্রেডারদের দুটি লাভজনক ট্রেড ওপেন করার সুযোগ দিয়েছিল। তবে, পাউন্ড ইউরোর মুভমেন্ট অনুকরণ করলেও, এটি মূল্যের নিজস্ব লেভেলে সেই মুভমেন্ট প্রয়োগ করেছিল, যা ইউরোর লেভেলের তুলনায় ভিন্ন ছিল।
সামগ্রিকভাবে, বিভিন্ন উপাদান কার্যকর থাকলেও ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার, যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি, যদিও মার্কিন প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল ডলারকে বেশি সমর্থন প্রদান করেছিল। তবে, দিনের শেষের দিকে পাউন্ডের মূল্য আবারও বৃদ্ধি পেয়েছিল—যদিও খুব বেশি নয়। সাম্প্রতিক সময়ে এই ধীর ও স্থিতিশীল দর বৃদ্ধি পাউন্ডের মূল্যের নিয়মিত প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মার্কেটের ট্রেডাররা দ্বিধাগ্রস্ত থাকলেও, প্রতিদিনই ট্রাম্পের শুল্ক সংক্রান্ত ঘোষণার না থাকলেও মার্কিন ডলারের বিক্রি অব্যাহত রয়েছে। পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে মঙ্গলবার, তিনটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, যেগুলোর সবই ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তবে, দ্বিতীয় শর্ট ট্রেডটি ব্রেকইভেনে ক্লোজ করা যেত, কারণ মূল্য ২০ পিপস সঠিক দিকে এগিয়েছিল। তৃতীয় ট্রেডটি যদি সন্ধ্যায় ম্যানুয়ালি ক্লোজ করা হতো, তাহলে এটি থেকেও সামান্য লাভ করা যেতে পারত।
বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বেশ আগেই শুরু হওয়া উচিত ছিল, তবে ট্রাম্প এই প্রক্রিয়া প্রতিহত করতে সবকিছু করছেন। মধ্যমেয়াদে, আমরা এখনো 1.1800 লেভেলের দিকে পাউন্ডের দরপতনের প্রত্যাশা করছি, তবে ট্রাম্পের প্রভাবের কারণে মার্কিন ডলারের দরপতন কতদিন স্থায়ী হবে তা অনিশ্চিত। একবার এই মুভমেন্ট শেষ হলে, সকল টাইমফ্রেমে টেকনিক্যাল চিত্র নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হতে পারে। আপাতত, দীর্ঘমেয়াদে এখনও এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা নির্দেশ করছে। সাম্প্রতিক সময়ে পাউন্ডের দর বৃদ্ধি পুরোপুরি অযৌক্তিক ছিল না, তবে পাউন্ড আবারও অতিরিক্ত এবং অপ্রত্যাশিতভাবে শক্তিশালী হয়েছে।
বুধবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ এখন মার্কেটের ট্রেডারদের কাছে মার্কিন ডলার বিক্রির জন্য কোনো মৌলিক ন্যায্যতার প্রয়োজন নেই। তবে, আজকের ফেডারেল রিজার্ভ বৈঠকের ফলাফল সন্ধ্যায় মার্কেটে অস্থিরতা এবং অনিয়মিত মুভমেন্ট সৃষ্টি করতে পারে।
৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হল: 1.2301, 1.2372-1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2613, 1.2680-1.2685, 1.2723, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, এবং 1.3102-1.3107। বুধবার, যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদন নির্ধারিত নেই, তবে যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল রিজার্ভ বৈঠকের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। ফেডের পদক্ষেপ থেকে মার্কিন ডলার শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা কম, এবং মার্কেটে অস্থির মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শুন পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত কৌশল হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।