সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

সোমবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে, টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে, ইউরোর তুলনায় পাউন্ডের মূল্যের মুভমেন্ট বেশি যৌক্তিক ছিল। ইউরোর বিপরীতে, এখনো ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে এবং ট্রেন্ডলাইন এখনো ব্রেক করেনি। সোমবার পাউন্ডের দর বৃদ্ধির জন্য কার্যত কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণ ছিল না। যুক্তরাজ্যের ম্যানুফ্যাকচারিং PMI প্রতিবেদনের শুধুমাত্র দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশিত হয়েছিল, যখন প্রথম গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন প্রতিবেদন—ISM সূচক—সন্ধ্যায় প্রকাশিত হয়, তখন মার্কেটে ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করছিল। রাতের বেলা ডলার দুর্বল হতে শুরু করেছিল, যার ফলে এই মুভমেন্টকে মূলত শুক্রবার হোয়াইট হাউসের ঘটনাপ্রবাহের প্রতি আবেগপ্রবণ প্রতিক্রিয়া হিসেবে বিবেচনা করা যায়। কেন মার্কেটের ট্রেডাররা এই ঘটনাপ্রবাহকে ডলারের জন্য নেতিবাচকভাবে ব্যাখ্যা করেছিল, তা স্পষ্ট নয়, তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দেখিয়েছেন যে তিনি শুধু মুখের কথায় "বিশ্ব শান্তি" সমর্থন করেন। বাস্তবে, তিনি বিশ্বের অর্ধেকের বেশির দেশের সঙ্গে মৌখিক সংঘাতে লিপ্ত হয়েছেন এবং বিভিন্ন শর্ত আরোপ করেছেন, যা ডলারের ব্যাপারে ট্রেডারদের সতর্ক করে তুলেছে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5-মিনিটের চার্টে, সোমবার GBP/USD পেয়ারের একাধিক ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথমে, এই পেয়ারের মূল্য 1.2613 লেভেল ব্রেক করে উপরের দিকে যায় এবং পরে আরও ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে। 1.2680-1.2685 এরিয়া অতিক্রম করার পর, মূল্য 1.2723 লেভেল টেস্ট করে। এই লেভেলে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সমাপ্তি ঘটে, যা অন্তত 80-পিপস মুনাফার সাথে লং পজিশন ক্লোজ করার সুযোগ দিয়েছে।
মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, স্বল্পমেয়াদে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে, যখন এ সপ্তাহের সাম্প্রতিক মুভমেন্টে দৈনিক চার্টে শুধুমাত্র একটি কারেকশন প্রতিফলিত হচ্ছে। মাঝারি-মেয়াদে, আমরা এখনো 1.1800 লেভেলের দিকে পাউন্ডের দরপতনের প্রত্যাশা করছি, যা সবচেয়ে যৌক্তিক পরিস্থিতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এখন মূল বিষয় হলো, দৈনিক চার্টে ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের সমাপ্তি পর্যন্ত অপেক্ষা করা এবং ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে ট্রেন্ডলাইনের নিচে এই পেয়ারের মূল্যের স্থিতিশীল হওয়ার সংকেত খুঁজে বের করা।
মঙ্গলবার, যদি ট্রাম্প বৈশ্বিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে থাকেন এবং বিভিন্ন শর্ত আরোপ করতে থাকেন তাহলে GBP/USD পেয়ারের মূল্য আরও ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। আজ কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই, এবং কার্যত কোনো কারণ ছাড়াই পাউন্ডের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
5-মিনিটের চার্টে, মঙ্গলবারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ট্রেডিং লেভেলগুলো হল: 1.2164-1.2170, 1.2241-1.2270, 1.2301, 1.2372-1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2613, 1.2680-1.2685, 1.2723, এবং 1.2791-1.2798।
মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই, তবে সন্ধ্যায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরেকটি ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। তিনি ইতোমধ্যে চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছেন, তাই এই সপ্তাহে মার্কেটে সম্ভবত স্থিতিশীল পরিস্থিতি বজায় থাকবে না।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শুন পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।