শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য সামান্য নিম্নমুখী হয়েছে, যা পাউন্ড এবং ইউরোর মিশ্র সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটকে প্রতিফলিত করে। ফেব্রুয়ারি মাসে যুক্তরাজ্যের উৎপাদন সংক্রান্ত PMI সূচক তীব্রভাবে হ্রাস পেয়ে 46.4 পয়েন্টে নেমে এসেছে, তবে পরিষেবা সংক্রান্ত PMI বৃদ্ধি পেয়ে 51.1 পয়েন্টে পৌঁছেছে। এর ফলে একটি ইতিবাচক এবং একটি নেতিবাচক প্রতিবেদন পাওয়া গিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সূচকগুলোর ফলাগফল মিশ্র ছিল এবং ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান থেকে প্রকাশিত কনজিউমার কনফিডেন্স বা ভোক্তা আস্থা সূচকের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় কম ছিল। এই পরিস্থিতিতে, শুক্রবার ডলার দুর্বল হলে সেটি কোন অপ্রত্যাশিত ফলাফল হতো না। তবে, বাস্তবে ডলার শক্তিশালী হয়েছে। আগের দিন, বৃহস্পতিবার, সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রভাবক অনুপস্থিত থাকা সত্ত্বেও, এই পেয়ারের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। এটি নতুন ট্রেডারদের জন্য এটি নির্দেশ করে যে, বর্তমানে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট সামষ্টিক অর্থনৈতিক বা মৌলিক কারণগুলোর দ্বারা তেমন প্রভাবিত হচ্ছে না। দৈনিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন চলমান রয়েছে, যা চলমান পরিস্থিতির প্রতিফলিত ঘটায়।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
৫-মিনিটের চার্টে, শুক্রবার 1.2680-1.2685 এরিয়ার কাছে একটি শক্তিশালী ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়। যদিও এর গঠনে সামান্য ত্রুটি ছিল, তবে এটি সেল ট্রেড ওপেন করার ক্ষেত্রে কোন বাধা সৃষ্টি করেনি। সারাদিন ধরে এই পেয়ারের মূল্য হ্রাস অব্যাহত ছিল, যার ফলে সন্ধ্যার মধ্যে শর্ট পজিশন ক্লোজ করে আনুমানিক ৩০ পিপস লাভ অর্জন করা সম্ভব হয়।
সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, স্বল্পমেয়াদে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে, তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে পরিলক্ষিত সমস্ত মুভমেন্ট দৈনিক টাইমফ্রেমে একটি কারেকশনের অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মধ্যমেয়াদে, আমরা এখনো 1.1800 লেভেলের দিকে GBP/USD পেয়ারের দরপতনের প্রত্যাশা করছি, যা একমাত্র যৌক্তিক ফলাফল বলে মনে হচ্ছে। তাই, এখন শুধুমাত্র দৈনিক টাইমফ্রেমে ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের সমাপ্তির জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
সোমবার, নতুন করে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে, কারণ সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে পাউন্ডের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, বর্তমানে মার্কেটে এই পেয়ারের মূল্যের এলোমেলো মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হচ্ছে যা সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। স্বল্পমেয়াদে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনো কার্যকর রয়েছে।
৫-মিনিটের চার্টে, ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.2164-1.2170, 1.2241-1.2270, 1.2301, 1.2372-1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2613, 1.2680-1.2685, 1.2723, এবং 1.2791-1.2798।
সোমবার যুক্তরাজ্য বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই, তাই এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী ওঠানামার সম্ভাবনা কম। সম্ভবত পাউন্ডের মূল্য ধীরে ধীরে অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকবে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।