ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং ট্রেডিংয়ের পরামর্শ
যখন MACD সূচকটি শূন্যের উল্লেখযোগ্য নিচে নেমে যায় তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.2590 এর লেভেল টেস্ট করে, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করে। এই কারণে, আমি পাউন্ড বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি। অল্প সময় পর, 1.2590 লেভেল আবারও টেস্ট করা হয়, সেসময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে ছিল, যার ফলে পরিকল্পনা #2 অনুসারে বাই এন্ট্রি কার্যকর করা হয়। এর ফলে 25 পিপসের বেশি লাভ অর্জিত হয়।
ব্রিটিশ কারেন্সির মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা মূলত ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সম্ভাব্য মুদ্রানীতির নমনীয়করণের প্রত্যাশার মাধ্যমে চালিত হতে পারে। তবে, যুক্তরাজ্যে মুদ্রাস্ফীতি এখনো অস্থিতিশীল রয়েছে, এবং অর্থনৈতিক স্থবিরতার সম্ভাবনা এই ইঙ্গিত দেয় যে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিকল্পিত হারে সুদের হার কমানোর নীতি বজায় রাখতে পারে। এই পরিস্থিতি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশার সঞ্চার করেছে, যা নির্দেশ করে যে পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সম্ভবত সীমিত থাকবে।
এছাড়াও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ আরও তীব্র হওয়ার ঝুঁকি বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, যা পরোক্ষভাবে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিকেও প্রভাবিত করবে। এমন পরিস্থিতিতে, নেতিবাচক সংবাদের প্রভাব উপেক্ষা করে যারা পাউন্ড ক্রয় করেছে তারা উল্লেখযোগ্য লোকসানের শিকার হতে পারে।
আজ, গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের নীতিগত সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারে। যুক্তরাজ্যের কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) এবং কোর CPI-এর ফলাফল বাজার পরিস্থিতি নির্ধারণ করবে। যদি মুদ্রাস্ফীতির হার প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায়, তাহলে পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ এটি যুক্তরাজ্যে সুদের হার আরও হ্রাসের প্রত্যাশাকে দুর্বল করবে। বিপরীতে, যদি প্রতিবেদনে ধীরগতির মুদ্রাস্ফীতির ইঙ্গিত পাওয়া যাউ, তাহলে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ওপর সুদের হার হ্রাসের চাপ বৃদ্ধি পাবে, যা পাউন্ডের দরপতন ঘটাতে পারে।
ট্রেডাররা প্রকৃত ফলাফল এবং পূর্বাভাসের পার্থক্য নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে, কারণ এই পার্থক্যই স্বল্পমেয়াদে ব্রিটিশ কারেন্সির মূল্যের দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করবে। পাশাপাশি, প্রতিবেদন প্রকাশের পর ব্যাংক অব ইংল্যান্ড কর্মকর্তাদের মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, কারণ তারা ভবিষ্যতের মুদ্রানীতির বিষয়ে ট্রেডারদের প্রত্যাশার সমন্বয় ঘটাতে বাধ্য করতে পারে।
দৈনিক কৌশল হিসেবে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: আজ যখন GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.2672-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.2632-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.2672-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি (উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। বুলিশ মোমেন্টাম বজায় থাকলে পাউন্ডের দর বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2612-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.2632 এবং 1.2672-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির আশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 1.2612-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2576-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। মূল্য উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় GBP/USD পেয়ার বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্য নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2632-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.2612 এবং 1.2576-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
চার্টে কী আছে:
- হালকা সবুজ লাইন: এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয়ের জন্য এন্ট্রি প্রাইস।
- গাঢ় সবুজ লাইন: টেক-প্রফিট (TP) সেট করতে পারেন বা ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা, কারণ এই লেভেলের উপরে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
- হালকা লাল লাইন: এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রয়ের জন্য এন্ট্রি প্রাইস।
- গাঢ় লাল লাইন:টেক-প্রফিট (TP) সেট করতে পারেন বা ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা, কারণ এই লেভেলের নিচে আরও দরপতনের সম্ভাবনা নেই।
- MACD সূচক: মার্কেটে এন্ট্রি করার সময়, ওভারবট এবং ওভারসোল্ড জোন চিহ্নিত করা গুরুত্বপূর্ণ।
নতুন ফরেক্স ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:
- মার্কেটে এন্ট্রির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় নতুন ট্রেডারদের খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে, মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে ট্রেডিং না করাই উচিত। সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেড করলে, ঝুঁকি কমাতে সর্বদা স্টপ-লস অর্ডার সেট করুন। স্টপ-লস অর্ডার বা মানি ম্যানেজমেন্টের কৌশল ছাড়াই ট্রেড করলে আপনার ডিপোজিট দ্রুত শেষ হয়ে যেতে পারে, বিশেষ করে বড় ভলিউমে ট্রেড করার সময়।
- সফলভাবে ট্রেড করার জন্য ট্রেডিংয়ের একটি স্পষ্ট পরিকল্পনা থাকতে হবে, ঠিক যেমনটি আমি এই নিবন্ধে প্রদর্শন করেছি। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে ট্রেডিংয়ের স্বতঃস্ফূর্ত সিদ্ধান্ত দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা যেকোন নতুন ট্রেডারের জন্য সহজাতভাবে লোকসান বয়ে নিয়ে আসতে পারে।