বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
বুধবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও এর কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছিল না। দিনের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন—মার্কিন মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কেটে যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে, তা কেবল প্রথম পাঁচ মিনিটের জন্যই যৌক্তিক ছিল, যখন ডলার উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী হয়েছিল।
জানুয়ারিতে, ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI), উভয়ই মূল এবং সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতি, বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ফেডারেল রিজার্ভের নিকট ভবিষ্যতে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনাকে উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দিয়েছে। এটি আরও নির্দেশ করে যে ফেড ২০২৫ সালে সুদের হার একেবারেই কমাবে না, যা আমরা জানুয়ারিতেই উল্লেখ করেছিলাম। মার্কিন অর্থনীতি এখনো শক্তিশালী অবস্থায় রয়েছে, যা ফেডকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বর্তমান সুদের হার বর্তমান স্তরে বজায় রাখার সুযোগ দিচ্ছে।
এছাড়া, ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতি বিবেচনায়, ২০২৫ সালে মূল্যস্ফীতি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে, যা সুদের হার কমানোর আলোচনা থেকে সুদের হার বৃদ্ধির আলোচনা শুরু করতে পারে। এটি সবচেয়ে হকিশ বা কঠোর পরিস্থিতি হবে, যা মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও বিবেচনায় নেয়নি। তবে, দৈনিক টাইমফ্রেমে এখনও ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের কারেকশন হচ্ছে, এই বিষয়টি এটি ব্যাখ্যা করে যে কেন এমন পরিস্থিতিতে এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি দেখা গেছে, যেখানে দরপতন বেশি যৌক্তিক ছিল।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
বুধবার ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে একাধিক ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছে, তবে মার্কেটে এই পেয়ারের মূল্য মুভমেন্ট অত্যন্ত অস্থির ছিল। মার্কিন সেশনের সময় তিনটি সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল, এবং প্রতিটিই অন্তত নিরপেক্ষ ছিল (ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়নি)। তবে, এই পেয়ারের মূল্য মূলত নিম্নমুখী হতে পারে জেনেও লং পজিশন ওপেন করা মানসিকভাবে কঠিন ছিল।
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, নতুন করে স্বল্পমেয়াদে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে, তবে দৈনিক টাইমফ্রেমে গত কয়েক সপ্তাহের সামগ্রিক মুভমেন্ট এখনো কারেকশন বলে মনে হচ্ছে। মাঝারি মেয়াদে, আমরা GBP/USD-এর মূল্যের 1.1800-এর দিকে দরপতনের সম্ভাবনাকে সমর্থন করি, যা আমাদের মতে সবচেয়ে যৌক্তিক পরিস্থিতি। তাই, ট্রেডারদের উচিত দৈনিক কারেকশনের সমাপ্তির জন্য অপেক্ষা করা, তারপরে শর্ট পজিশনে এন্ট্রি করা।
বৃহস্পতিবার, বর্তমানে মার্কেটে অস্থিরতার কারণে এই পেয়ারের মূল্যের আরও একটি নিম্নমুখী মুভমেন্ট শুরু হতে পারে। বুধবার কোনো সুস্পষ্ট কারণ ছাড়াই পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছিল, এবং আজ সহজেই এটির মূল্য হ্রাস পেতে পারে। মূল্যের ওঠানামার পেছনে কোনো সুস্পষ্ট যৌক্তিক কারণ না থাকায়, মার্কেটে এখনো চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
৫-মিনিট টাইমফ্রেমে, ট্রেডিংয়ের জন্য প্রধান পর্যবেক্ষণযোগ্য লেভেলগুলো হলো: 1.2010, 1.2052, 1.2089-1.2107, 1.2164-1.2170, 1.2241-1.2270, 1.2301, 1.2372-1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2723, এবং 1.2791-1.2798।
বৃহস্পতিবার, যুক্তরাজ্য়ে জিডিপি এবং শিল্প উৎপাদন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা মার্কেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কেবল দুটি স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, যা মার্কেটের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে মনে হয় না।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।