সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
সোমবার, GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা বিরাজ করেছে এবং সামান্য নিম্নমুখী প্রবণতার সাথে ট্রেড করা হয়েছে। এই পেয়ারের মূল্য বেশ বাধাহীনভাবে অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করে ফেলেছে, যা স্বল্পমেয়াদে নতুন করে নিম্নমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা নির্দেশ করে। তবে, এই সপ্তাহে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট রয়েছে, যা ব্রিটিশ পাউন্ডকে সমর্থন দিতে পারে। এছাড়া, এই পেয়ারের মূল্যের বর্তমান মুভমেন্ট এখনো কারেকশন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যার মানে হলো মার্কেটে অস্থির বা সাইডওয়েজ মুভমেন্ট শুরু হতে পারে। সোমবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যে কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না বা কোন ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টও নেই।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
৫-মিনিট টাইমফ্রেমে, সোমবার দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। এই পেয়ারের মূল্য 1.2372–1.2387 জোন থেকে বাউন্স করেছিল এবং প্রায় ২৫ পয়েন্ট ঊর্ধ্বমুখী হয়েছিল। তবে, মূল্য নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছায়নি, এবং দ্রুতই প্রাথমিক অবস্থানে ফিরে আসে, যা সম্ভবত ব্রেকইভেনে স্টপ লস সক্রিয় করেছে। মার্কিন সেশনের সময়, পাউন্ডের মূল্য 1.2372–1.2387 রেঞ্জের মধ্যে ছিল এবং কেবল এশিয়ান সেশনের সময় এই রেঞ্জের ব্রেকআউট ঘটেছিল। ফলে, সকালে শর্ট পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে।
মঙ্গলবার কীভাবে ট্রেড করতে হবে
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, স্বল্পমেয়াদে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতায় শুরু হতে পারে, তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দৈনিক টাইমফ্রেমে এই মুভমেন্টটি এখনো কারেকশন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মাঝারি মেয়াদে, আমরা 1.1800 লেভেলের দিকে পাউন্ডের দরপতনকে সবচেয়ে যৌক্তিক দৃশ্যপট হিসেবে বিবেচনা করছি। সুতরাং, ট্রেডারদের দৈনিক টাইমফ্রেমে কারেকশন শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করা উচিত।
মঙ্গলবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ মূল্য ইতোমধ্যে অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করেছে।
৫-মিনিট টাইমফ্রেমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ট্রেডিং লেভেলসমূহ হলো: 1.2010, 1.2052, 1.2089–1.2107, 1.2164–1.2170, 1.2241–1.2270, 1.2301, 1.2372–1.2387, 1.2445, 1.2502–1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680–1.2685, 1.2723, 1.2791–1.2798।
মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জেরোম পাওয়েল কংগ্রেসের সামনে বক্তব্য প্রদান করবেন। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইভেন্ট, কারণ ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারম্যানের বক্তব্য বাজার পরিস্থিতিকে শক্তিশালীভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এখনো ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতিগত পদক্ষেপের পরিবর্তে ফেডের পদক্ষেপই ট্রেডিংয়ের মূল অনুঘটক হিসেবে বিবেচিত হয়।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।