শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
শুক্রবার, GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে, বেশিরভাগ দরপতন মার্কিন ট্রেডিং সেশনের সময় ঘটেছে। পূর্বে উল্লেখিত তথ্য অনুযায়ী, নন-ফার্ম পেরোলস (NFP) এবং বেকারত্ব হার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কিন ডলারের জন্য মোটামুটি ইতিবাচক ছিল, যদিও ফলাফল পুরোপুরি স্পষ্ট ছিল না।
এছাড়াও, ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স ডলারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা সৃষ্টি করেছে। ফেব্রুয়ারিতে এই সূচক 71.1 থেকে 67.8-এ নেমে এসেছে, যা শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলোর শক্তিশালী ফলাফলের বিপরীতে নেতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
ফলস্বরূপ, ডলার পাউন্ডের বিপরীতে শক্তিশালী হয়েছে, তবে এই মুভমেন্ট ছিল মাঝারি মাত্রার, যা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের মিশ্র ফলাফল প্রতিফলিত করে। GBP/USD পেয়ারের মূল্য এখনো ঊর্ধ্বমুখী ট্রেন্ডলাইনের ওপরে রয়েছে, যার অর্থ হলো সোমবারের ভুল ব্রেকআউট উপেক্ষা করা যেতে পারে। আসন্ন সপ্তাহগুলোতে, এখনো পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যেতে পারে, যদিও এটি সমর্থন করার মতো মৌলিক কারণের সংখ্যা খুবই সীমিত। দৈনিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন এখনো দুর্বল।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
শুক্রবার, ৫-মিনিটের চার্টে একাধিক ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তবে এর মধ্যে অল্প কিছু কার্যকর হিসেবে বিবেচনা করা যায়। ইউরোপীয় সেশনে, 1.2445 লেভেলে একটি বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, যা লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ তৈরি করেছিল। মার্কিন সেশন শুরুর আগেই ট্রেডারদের হয় এই পজিশন ক্লোজ করা উচিত ছিল, নয়তো স্টপ লস ব্রেকইভেনে সরিয়ে নেওয়া উচিত ছিল।
এরপর, মার্কেটে তীব্র অস্থিরতা ("ঝড়") শুরু হয়, যা যেকোনো ট্রেডিং সিগন্যাল অনুসরণ করাই কঠিন করে তুলেছিল। সন্ধ্যার দিকে, GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.2372–1.2387 লেভেল থেকে রিবাউন্ড করেছিল, তবে এই সিগন্যাল সেশন শেষের দিকে গঠিত হওয়ায় এটি কার্যকর করা উপযুক্ত সিদ্ধান্ত ছিল না।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, এখনও স্বল্পমেয়াদে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে, যা কার্যত একটি কারেকটিভ মুভমেন্ট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মাঝারি-মেয়াদে, 1.1800-এর দিকে এই পেয়ারের আরও মূল্য হ্রাস পাওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে, যা সবচেয়ে যৌক্তিক ফলাফল বলে মনে হচ্ছে। ফলে, দৈনিক টাইমফ্রেমের এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশন শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করাই প্রধান লক্ষ্য।
সোমবার, আবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ফিরে আসতে পারে, কারণ মূল্য আবারও ঊর্ধ্বমুখী ট্রেন্ডলাইন থেকে রিবাউন্ড করেছে।
৫-মিনিট চার্টে, বর্তমানে নিম্নলিখিত লেভেলগুলোতে ট্রেড করা যেতে পারে: 1.2010, 1.2052, 1.2089-1.2107, 1.2164-1.2170, 1.2241-1.2270, 1.2301, 1.2372-1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2723, 1.2791-1.2798।
সোমবার, যুক্তরাজ্য বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, যার ফলে প্রধানত টেকনিক্যাল বিষয়ের উপর ভিত্তি করে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট দেখা যাবে এবং অস্থিরতার মাত্রা অপেক্ষাকৃত কম হতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।