বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট
বৃহস্পতিবার, EUR/USD পেয়ারেরর মূল্যের ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা অত্যন্ত কম ছিল এবং মূল্যের সীমিত মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। পুরো দিনে ইউরো বা ডলারের জন্য উল্লেখযোগ্য কোনো অর্থনৈতিক ইভেন্ট ছিল বা কোন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়নি। একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন ছিল ইউরোজোনের খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন, যার ফলাফল পূর্বাভাসের তুলনায় দুর্বল এসেছে, এটিও প্রত্যাশিত ফলাফল ছিল। এর ফলে দিনের প্রথমার্ধে ইউরোর মূল্য কিছুটা হ্রাস পায়, যা যৌক্তিক ছিল।
আমরা ধারণা করেছিলাম যে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফল এবং অ্যান্ড্রু বেইলির বক্তব্য ইউরোর মার্কেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। তবে, এটি ঘটেনি। মূল্য 1.0359 লেভেল টেস্ট করেছিল, সেখান থেকে রিবাউন্ড হয়েছে এবং দৈনিক টাইমফ্রেমে ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন অব্যাহত রয়েছে। ফলস্বরূপ, বৃহস্পতিবারের সেশনে বাজার পরিস্থিতির কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
বৃহস্পতিবার ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে মাত্র একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় সেশনে, মূল্য 1.0334–1.0359 রেঞ্জে পৌঁছেছিল এবং প্রায় ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা ধরে এই লেভেলে ট্রেড করেছে। শেষ পর্যন্ত, একটি বাউন্স দেখা গিয়েছে, তবে সিগন্যালটি দুর্বল এবং অস্পষ্ট ছিল। তবে, যেসব নতুন ট্রেডার এই সিগন্যালের ভিত্তিতে বাই পজিশনে এন্ট্রি করেছিলেন, তারা দিনের শেষে সামান্য লাভ করতে পেরেছেন, কারণ কারেন্সি পেয়ারটির মূল্য এই জোনের বাইরে চলে গিয়েছিল।
শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, বর্তমানে মাঝারি মেয়াদে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতায় বিরাজ করছে। যদিও স্থানীয় পর্যায়ে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বাতিল হয়েছিল, এটি পরে আবার শুরু হয়েছে। আমরা ইউরোর আরও দরপতনের প্রত্যাশা করছি, কারণ বৈশ্বিক মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মার্কিন ডলারকে সমর্থন করছে। তবে, দৈনিক টাইমফ্রেমে চলমান ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন আরও কয়েক সপ্তাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
শুক্রবার, মার্কিন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল ওপর ভিত্তি করে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট নির্ধারিত হবে। ফলে, তীব্র দরপতন অথবা শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা উভয়েরই সম্ভাবনা রয়েছে।
৫-মিনিট টাইমফ্রেমে গুরুত্বপঊর্ণ ট্রেডিং লেভেলগুলো হল: 1.0156, 1.0221, 1.0269–1.0277, 1.0334–1.0359, 1.0433–1.0451, 1.0526, 1.0596, 1.0678, 1.0726–1.0733, 1.0797–1.0804, এবং 1.0845–1.0851।
ইউরোজোনে শুক্রবার কোনো উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। তবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আজকের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে রয়েছে: নন-ফার্ম পেরোল (NFP), বেকারত্বের হার, এবং ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের ভোক্তা আস্থা সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদন। ফলস্বরূপ, মার্কিন ট্রেডিং সেশনের সময় মার্কেটে উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট এবং ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার তীব্র বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।