মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট
মঙ্গলবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত রয়েছে, যা বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। প্রথমত, দৈনিক টাইমফ্রেমে একটি বুলিশ কারেকশন চলছে। উইকেন্ডের ডোনাল্ড ট্রাম্পের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে মার্কেটে দরপতন সত্ত্বেও, ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন শেষ হয়নি বা বাতিলও হয়ে হয়নি। দ্বিতীয়ত, সোমবার যে গ্যাপ তৈরি হয়েছিল তা পূরণ করার প্রয়োজন রয়েছে। উপরন্তু, মঙ্গলবারের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল ইউরোকে সমর্থন প্রদান করেছে। সেদিন প্রকাশিত JOLT-এর চাকরির সুযোগ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল ছিল। যদিও আমরা এই প্রতিবেদনটিকে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করি না, তারপরও বর্তমানে মার্কেটে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে, যার ফলে ইউরো ক্রয়ের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সপ্তাহে বেশ কয়েকটি ইভেন্ট রয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তাই আমরা এই পেয়ারের মূল্যের উচ্চ মাত্রার অস্থিরতার আশা করছি। তবুও, আমরা আশা করছি যে কারেকশন অব্যাহত থাকবে।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি আকর্ষণীয় ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের শুরুতে, এই পেয়ারের মূল্য 1.0269–1.0277 এরিয়া থেকে রিবাউন্ড করে এবং তারপর 1.0334–1.0359 এরিয়ায় উঠে আসে। তবে, এই এরিয়া থেকে রিবাউন্ডটি একটি ভুল সিগন্যাল হিসাবে প্রমাণিত হয়েছিল, যার ফলে শর্ট পজিশন থেকে সামান্য লোকসান হয়েছিল। কিছুক্ষণ পরে, এই পেয়ারের মূল্য এই এরিয়া ব্রেক করে, যার ফলে নতুন ট্রেডাররা নতুন করে লং পজিশন ওপেন করতে সক্ষম হন। সন্ধ্যায় ক্লোজ করা হলে এই ট্রেড লাভজনক হত, যদিও ট্রেডাররা বুধবার পর্যন্ত এটি হোল্ড করে রাখতে পারতেন। মোট তিনটি সিগন্যালের মধ্যে দুটি সিগন্যাল লাভজনক ছিল।
বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
প্রতি ঘণ্টার টাইমফ্রেমে, মধ্যমেয়াদে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। যদিও স্থানীয় পর্যায়ে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সাময়িকভাবে থেমে গিয়েছিল, তারপর এটি আবার শুরু হয়েছে। মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক উভয় কারণই মার্কিন ডলারকে সমর্থন করে চলেছে, তাই এখনও ইউরোর দরপতনের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে, দৈনিক টাইমফ্রেমে বুলিশ কারেকশন আরও কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে পারে।
বুধবার, এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকতে পারে, তবে টেকনিক্যাল লেভেলগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত। ইউরোর মূল্যের বর্তমান দর বৃদ্ধি একটি কারেকশন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যদিও এটি হায়ার টাইমফ্রেমে পরিলক্ষিত হচ্ছে। প্রতি ঘণ্টার চার্টে, এই কারেকশন জটিল বলে মনে হতে পারে, যা পর্যায়ক্রমিক প্রবণতা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে।
৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, নিম্নলিখিত লেভেলগুলো পর্যবেক্ষণ করা উচিত: 1.0156, 1.0221, 1.0269–1.0277, 1.0334–1.0359, 1.0433–1.0451, 1.0526, 1.0596, 1.0678, 1.0726–1.0733, 1.0797–1.0804, এবং 1.0845–1.0851.। বুধবার, ইউরোজোন, জার্মানি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিষেবা খাতের PMI সূচক প্রকাশিত হবে। উল্লেখযোগ্যভাবে, আমাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ISM পরিষেবা সূচক এবং ADP থেকে প্রকাশিতব্য মার্কিন শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। বর্তমানে, মার্কেটে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।